স্মার্টফোন বিহীন মানুষ এখন খুব কমই পাওয়া যাবে। আর হাতে স্মার্টফোন থাকলেই সারাক্ষণ চলে এর নানা ব্যবহার। তবে সারাক্ষণ ফোন ব্যবহার করার ফলে চার্জ শেষ হয়ে যায়। আর আসল চার্জার দিয়ে চার্জ না দিলে সাধের ফোনটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।
সব ফোন কোম্পানি তাদের ফোনের সঙ্গে চার্জার দিয়ে দেয়। ফোন ভালো রাখতে আসল চার্জার ব্যবহার করা খুবই জরুরি। তবে অনেক সময় আসল চার্জার নষ্ট হয়ে যায় বা হারিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বাজার থেকে চার্জার কিনে নিই আমরা। কিন্তু সেটি আসল নাকি নকল সেটি অনেকেই যাচাই করতে পারি না।
চলুন জেনে নেওয়া যাক আসল-নকল চার্জার চেনার উপায়-
আইফোন আইফোনের সঙ্গে অ্যাপল একটি চার্জার দিয়েই দেয়। তবে বাজারেও আইফোনের অসংখ্য চার্জার পাওয়া যাবে। তবে তার অধিকাংশই নকল। আইফোনের আসল চার্জারে ‘ডিজাইনড বায় অ্যাপল ইন ক্যালিফোর্নিয়া’ লেখা থাকবে। অ্যাপল লোগোটি নকল চার্জারে গাঢ় কালো রঙের দেখাবে।
গুগল পিক্সেল অন্যান্য সংস্থার মতো গুগল পিক্সেলেরও নকল চার্জার পাবেন বাজারে। তবে এর আসল নকল বুঝতে পারবেন খুব সহজেই। গুগল সব সময় পিক্সেল ফোনের সঙ্গে ফাস্ট চার্জার সরবরাহ করে থাকে। যদি পিক্সেল ফোনটি চার্জ হতে অনেক সময় নেয়, তাহলে বুঝতে হবে চার্জারটি নকল।
হুয়াওয়ে বাজার হুয়াওয়ের নকল চার্জারও পাবেন। হুয়াওয়ের আসল ও নকল চার্জার চিনতে বারকোডের সাহায্য নিন। হুয়াওয়ে চার্জারের বারকোড তথ্যের সঙ্গে অ্যাডাপ্টরের বারকোড তথ্যের মিল পাওয়া গেলে বুঝতে হবে চার্জারটি আসল।
শাওমি শাওমির নকল চার্জার চিনতে হলে কেবলের দৈর্ঘ্য মেপে নিন। যদি কেবলটি লম্বায় ১২০ সেন্টিমিটারের কম হয় বা অ্যাডাপ্টর বড় হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে চার্জারটি নকল।
ওয়ানপ্লাস ওয়ানপ্লাস ফোনের অরিজিনাল ড্যাশ চার্জার চেনা খুবই সহজ। যদি চার্জিং এর সময় চার্জারের আলো ব্লিঙ্ক না করে তবে তা নকল চার্জার। আসল চার্জারে ফোন চার্জিং এর সময় এই আলো ব্লিঙ্ক করে।
গুগল পিক্সেলেরও নকল চার্জার পাবেন বাজারে।